মোংলা বাগেরহাট প্রতিনিধি>>> সুন্দরবন দুবলার চরে দেড়’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব আগামীকাল ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী অনুষ্টিত হবে। ‘রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান’ উপলক্ষে সেখানে ৩ দিন ব্যাপী রাম মেলার আয়োজন করা হয়েছে।তিন দিনব্যাপী রাস উৎসবে ভক্ত-দর্শনার্থীদের সুন্দরবনে রাস পুঁজার স্থলে যাওয়া-আসা জন্য পাঁচটি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে।আগামী তিন দিন পূর্ণিমা তিথিতে সুন্দরবনসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের দুবলারচরে শুরু হবে ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমার পূজা ও পুণ্যস্নান।তবে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে এবারও পুণ্যার্থী ছাড়া অন্য কেউ ওই সময় সুন্দরবনে ভ্রমণ করতে পারবেন না।এ ছাড়া এবারও উৎসবকে কেন্দ্র করে হচ্ছে না রাসমেলা।২০২১ সাল থেকে রাসমেলা বন্ধ রয়েছে।এসব তথ্য জানিয়েছেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো।বন বিভাগ জানিয়েছে,তিথি অনুযায়ী তিন দিনব্যাপী,এই উৎসবকে কেন্দ্র করে সুন্দরবন উপকূলজুড়ে নেওয়া হচ্ছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা।এ সময় অন্যান্য বন্য প্রাণী শিকার বন্ধে বন বিভাগ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোও বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে। দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের জন্য সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ পাঁচটি পথ নির্ধারণ করেছে।এসব পথে বন বিভাগ,পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল দল তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।ইতিমধ্যে খুলনা সাতক্ষীরা বাগেরহাটসহ ভিবিন্ন স্থান থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মোংলা ঘসিয়াখালী চ্যানেলে পূজা ও পুণ্যস্নানে তীর্থযাত্রীরা লঞ্চ,ট্রলার,স্পিডবোট ও নৌকাযোগে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে দুবলার রাস উৎসবে যেতে হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা,জড়োহতে শুরু করেছেন মোংলার পশুর নদী ও মোংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতি নৌ-চ্যানেলে,চিলা নদী ও জয়মনির শেলা নদীতে।এসব এলাকায় অবস্থান করে বনবিভাগের পাস নিয়েই দল বেঁধে তীর্থ যাত্রীরা আজ রাতেই রওনা হবেন সাগর পাড়ের দুবলার চরে।সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল করিম বলেন,তবে রাসমেলা এবারও হচ্ছে না।রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে দুবলার চরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বন বিভাগের পাস পারমিট পাবেন।সেক্ষেত্রে নির্ধারিত রুট ব্যবহার করতে হবে। তবে বন বিভাগের নির্দেশনা মানতে হবে।
মন্তব্য